লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান পাটওয়ারীর লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। এ সময় আফনানের মা নাছিমা আক্তার ও বোন জান্নাতুল মাওয়াসহ স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগরের বাস টার্মিনাল এলাকায় পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মেজবাহীজ্জুলাম চৌধুরী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন।
এর আগে গেল ৫ আগস্ট আফনানের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। তাই মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালত মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে নিহত আফনানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন আদালত। তাই ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে আমাদের তত্ত্বাবধানেই পুনরায় মরদেহ দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, গেল ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে মাদাম ব্রিজ-ঝুমুর এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন। তখন তাদের গুলিতে শিক্ষার্থী আফনান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত আফনান লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরিয়া কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাস টার্মিনাল এলাকার আরমানি মিঝি মসজিদ বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন। ১৪ আগস্ট রাতে আফনানের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে ৭৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬০০ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।