Wednesday, January 29, 2025

আন্দোলনে পরিচয়, বিজয় মিছিলে প্রে*ম, এবার হলো পরিণয়

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে পরিচয় হয়েছিল তাদের। তারপর প্রেম। এবার হয়েছে পরিণয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে জীবনসঙ্গিনী খুঁজে পেয়েছেন বরগুনার নিলয় ও আনিকা। শুক্রবার বসেছেন বিয়ের পিঁড়িতে। এমন ভালোবাসার পূর্ণতা পেয়ে মুগ্ধ হয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) আসর নামাজ বাদ দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদরাসা মসজিদে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে বিপ্লবী দুই যোদ্ধার বাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ফুল, স্নিগ্ধতা এবং গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান। তবে সেই আয়োজনটা দুজনের বাসায়ই অনেকটা ঘরোয়া পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই দুই দম্পতি হলেন- বরগুনা পৌরসভার বাসিন্দা মীর রিজন মাহমুদ নিলয় (২২) এবং বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা (২০)।

আরও পড়ুনঃ  সরকারের উচিত ছিলো একটি ভালো নির্বাচন কমিশন গঠন করা: মেজর হাফিজ

দুই সাহসী যোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মীর রিজন মাহমুদ নিলয় আনোয়ার খান মর্ডান ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ ৬ সেমিস্টারে অধ্যায়নরত এবং ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা সরকারি ব্রজমহন কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী। আন্দোলনের শুরু থেকেই সারাদেশের ন্যায় বরগুনায়ও মীর নিলয়ের সমন্বয় ও নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনিকাও আন্দোলনে যুক্ত হন। এরপর থেকে চোখে চোখ রেখে ভালোলাগার উদয়ন, এদিকে আন্দোলন তো চলছে। আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যেই ৫ আগস্ট আনিকাকে নিলয়ের মনেপ্রাণে পছন্দ হয়। আন্দোলনের প্রোগ্রামে আনিকাকে পেয়ে নেতৃত্বের জায়গাটি আরো বেগবান হয়ে উঠে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পর ৭ আগস্ট থেকে তাদের প্রেম কন্টিনিউ চলতে থাকে। তাদের এই ভালোবাসা সাগর পরিমাণ মায়ায় পরিণত হয়। একপর্যায়ে ২৫ আগস্ট দুজনের পরিবারের মধ্যে জানানো হয়। শুক্রবার দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই যুগল।

আরও পড়ুনঃ  বিক্রি হচ্ছিল মরা গরুর মাংস, ম্যাজিস্ট্রেট দেখেই উধাও বিক্রেতা

এ বিষয়ে মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, আনিকার সঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমেই পরিচয় হয়। এমনিতে ওকে আগে দূর থেকে চিনলেও কখনো কথা হয়নি। আন্দোলন চলাকালে সবার সঙ্গেই আমার কথা হতো। সবাইকে সাহস দিয়ে আন্দোলন বেগবান করার জন্য বলতাম। এই কারণেই ওর সঙ্গে আমার কথা বলা শুরু হয়। তবে সেই সময়ে আমাদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। গত ৫ আগস্ট যখন একত্রে বিজয় মিছিলে আনন্দ উল্লাস করছিলাম তখন আমাদের মধ্যে ভালো লাগা শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ  বড় বড় সাংবাদিকদের কিনেই এসেছি, বললেন মতিউরের স্ত্রী

ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন, আন্দোলনের সময় নিলয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ওই সময় আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হতো। তখন সাহস এবং সততা দেখে নিলয়ের ওপর আমি দুর্বল হই। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে আমার প্রতি আলাদা কেয়ার দেখে ওর প্রতি দুর্বলতা আরো বেড়ে যায়। পরে ৭ আগস্ট আমাকে প্রেমের প্রস্তাব না দিয়ে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন নিলয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ